পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে জেনে রাখুন
আসসালামু আলাইকুম/আদাব, আজকের আলোচ্য বিষয় হলো পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে
নিজের মোবাইল দিয়ে এবং
দাগ নাম্বার
দিয়ে জমির মালিকের নাম ইত্যাদি ছাড়াও পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের
মোবাইল দিয়ে সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য। এই পোস্টে থাকছে দলিলের নকল
তোলার খরচ ২০২৫ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক।
পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ থাকলো, যাতে আপনি পুরাতন দলিল বের করুন
খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে এবং
দাগ নাম্বার
দিয়ে জমির মালিকের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। আশা করছি, এতে আপনার সকল
প্রশ্নের উত্তর এবং সঠিক নির্দেশনা পাবেন।
পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে জেনে রাখুন
এখন আমি আপনাদের সাথে পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে সম্পর্কে
শেয়ার করতে যাচ্ছি।
ডিজিটাল আর্কাইভ এবং অনলাইন সংগ্রহঃ প্রথমত, বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি
ডিজিটাল আর্কাইভের মাধ্যমে পুরাতন দলিল বা ইতিহাসের উপকরণ সংগ্রহ করা সম্ভব।
বাংলাদেশের জাতীয় আর্কাইভ বা স্থানীয় জেলা আর্কাইভের ওয়েবসাইট থেকে ডিজিটাল কপি
পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া:
- জাতীয় গ্রন্থাগারঃ এই গ্রন্থাগার থেকে পুরাতন বই, দলিল এবং ঐতিহাসিক নথি পাওয়া যেতে পারে।
- অনলাইন লাইব্রেরিঃ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন 'Google Books', 'Internet Archive', 'Bangladesh Digital Archives' থেকে পুরাতন দলিল বা ইতিহাসের নথি খুঁজে নিতে পারেন। এই নথিগুলো সাধারণত কপিরাইট মুক্ত অথবা পাবলিক ডোমেইনে থাকে।
স্ক্যান এবং ডিজিটাল রূপান্তরঃ আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পুরাতন
দলিল বা নথিগুলো স্ক্যান করতে পারেন। যদি আপনি কোন প্রাচীন পেপার বা দলিল দেখতে
পান, তবে সহজে মোবাইল ক্যামেরার সাহায্যে ছবি তুলে স্ক্যান করা সম্ভব। এর জন্যঃ
- অ্যাপসঃ “Adobe Scan”, “CamScanner” বা “Microsoft Office Lens” এর মতো স্ক্যানিং অ্যাপস ব্যবহার করা যেতে পারে, যা মোবাইলে নথি স্ক্যান করার সুবিধা দেয়।
- স্ক্যানের পর, ছবি অথবা পিডিএফ ফাইল হিসেবে সেগুলো সংরক্ষণ করা যায়।
অনলাইনে রেকর্ড খোঁজাঃ অনলাইন রেকর্ড অনুসন্ধান করার জন্য আপনি যদি জেলায়
পুরাতন দলিল খুঁজছেন, তবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে
গিয়ে সেগুলোর ডিজিটাল ফরম্যাটে দেখতে পারেন। অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের ইতিহাস
এবং নথিগুলো অনলাইনে রাখে।
বেশ কিছু অ্যাপ ব্যবহার করা যায়ঃ অন্যদিকে, পুরাতন দলিল খুঁজে বের
করার জন্য বিশেষ কিছু মোবাইল অ্যাপসও ব্যবহার করা যেতে পারেঃ
- Google Driveঃ যেখানে আপনি পুরাতন নথিগুলো সহজে আপলোড এবং শেয়ার করতে পারেন।
- Dropboxঃ এই প্ল্যাটফর্মে পুরাতন দলিল সংরক্ষণ ও শেয়ার করা যায়।
ব্যক্তিগত সংগ্রহঃ আপনার যদি পুরাতন পরিবারের দলিল বা ইতিহাস থেকে
কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে চান, তবে পরিবারের সদস্যদের কাছে জানুন। অনেক সময় পুরাতন
ঐতিহাসিক দলিল, নামধাম, পুরানো সনদপত্র এবং টেনেন্সি চুক্তি কিছু প্রজন্মের মধ্যে
থেকে থাকে। এগুলো মোবাইলে স্ক্যান এবং ডকুমেন্ট আকারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
প্রযুক্তি সহায়তাঃ পুরাতন দলিল সংরক্ষণ এবং সেগুলির ডিজিটাল রূপান্তর করা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি এসব প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সঠিকভাবে
করতে পারেন।
এভাবে, আপনি সহজেই পুরাতন দলিল বা ইতিহাসের নথি সংগ্রহ করতে পারবেন। এই
প্রক্রিয়ায় অবশ্যই কপিরাইট আইন মেনে চলুন এবং অন্যের লেখাগুলো ব্যবহার থেকে বিরত
থাকুন।
দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম
উপরোক্ত আলোচনায় আমি আপনাদের মাঝে পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল
দিয়ে জানিয়েছি চলুন এখন দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম জানি। জমির
মালিকানা নির্ধারণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো দাগ নম্বর। এটি প্রতিটি জমির
জন্য একটি অনন্য শনাক্তকরণ নম্বর হিসেবে কাজ করে,
যার মাধ্যমে তার মালিকানার তথ্য যাচাই করা যায়। সাধারণত, জমি ক্রয়-বিক্রয় বা
স্থানান্তর সংক্রান্ত কাগজপত্রে এই দাগ নম্বর উল্লেখ থাকে। দাগ নম্বরের মাধ্যমে
আপনি জমির মালিকের নাম, আকার, অবস্থান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে
পারেন।
দাগ নম্বরের গুরুত্বঃ
- জমির মালিকানা নিশ্চিত করাঃ দাগ নম্বর দিয়ে সহজে মালিকানার প্রমাণ পাওয়া যায়। এটি দলিলের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং জমির মালিকের নাম নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
- জমির পরিমাণ এবং অবস্থানঃ দাগ নম্বরের মাধ্যমে জমির সঠিক পরিমাণ, সীমা, অবস্থান এবং পাশের জমির সাথে সম্পর্ক জানা যায়।
- বিভিন্ন সরকারি কাজঃ জমির খাজনা, রেজিস্ট্রেশন এবং দলিল সংশোধন করার জন্য দাগ নম্বর অপরিহার্য।
জমির মালিকের নাম কোথায় পাওয়া যায়?
- জেলা রেজিস্ট্রি অফিসঃ জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে আপনি সহজেই জমির মালিকের নাম এবং সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবেন।
- ই-নামজারি সেবাঃ অনেক জেলা প্রশাসন এখন অনলাইনে জমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের সেবা চালু করেছে। এতে আপনি দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকের নাম জানাতে পারবেন।
- এলাকাবাসী বা স্থানীয় প্রশাসনঃ এলাকার চেয়ারম্যান বা অন্যান্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জমির মালিকের নাম ও সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
জমির মালিকের নাম জানার পদ্ধতি
পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির
মালিকের নাম সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন জানি জমির মালিকের নাম জানার পদ্ধতি
সম্পর্কে।
- দাগ নম্বর সংগ্রহঃ প্রথমে আপনি জমির দাগ নম্বর সংগ্রহ করবেন। এটি সাধারণত আপনার জমির দলিল অথবা খাজনা রশিদে লেখা থাকে।
- জেলা বা উপজেলা ভূমি অফিসে যোগাযোগঃ দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিকের নাম জানতে পারেন। ভূমি অফিসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য নিতে হবে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারঃ বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের
মাধ্যমে আপনি অনলাইনে জমির মালিকের নাম, দাগ নম্বর ও অন্যান্য তথ্য জানাতে পারেন।
যেমনঃ
- ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (Land Management System)
- ই-নামজারি সেবা (Online Land Mutation Service)
জমির মালিকানা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক
- ভূমি সেবাঃ জমির মালিকানা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা বা বিরোধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে পরামর্শ নিন।
- দলিল সংশোধনঃ জমির মালিকানা পরিবর্তন বা সংশোধন করতে দাগ নম্বর এবং সম্পর্কিত দলিল দাখিল করা হয়।
- কপিরাইট বা নকল দলিলের প্রতিকারঃ পুরনো বা বিকৃত দলিলের ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন, তবে এটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বা আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
জমির দলিল হারিয়ে গেলে কিভাবে পাওয়া যাবে?
পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির
মালিকের নাম সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন জানি জমির দলিল হারিয়ে গেলে কিভাবে পাওয়া
যাবে? সম্পর্কে।
- জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করুনঃ হারানো দলিল পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রথমে আপনার স্থানীয় জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হবে। সেখানে আপনার জমির রেকর্ড, দাগ নম্বর এবং মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে বের করতে সহায়ক হতে পারে।
- ভূমি রেজিস্ট্রি বা খাজনা রশিদ ব্যবহার করুনঃ আপনার জমির খাজনা রশিদ বা ভূমি রেজিস্ট্রি কপির মাধ্যমে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। এই রশিদগুলো জমির মালিকানা প্রমাণ করতে সহায়ক।
- নামজারি আবেদন করুনঃ যদি জমির দলিল সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যায়, তবে আপনি স্থানীয় ভূমি অফিসে নামজারি আবেদন করতে পারেন। এর মাধ্যমে নতুন দলিল তৈরি করা যাবে, যেখানে জমির মালিকানা ও অন্যান্য তথ্য পুনরায় রেকর্ড করা হবে।
- প্রাসঙ্গিক দলিল বা নথির মূল কপি পাওয়ার চেষ্টা করুনঃ অনেক সময় আপনার জমির পূর্ববর্তী মালিক বা তাদের পরিবার সদস্যরা দলিলের মূল কপি রাখে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে পুরনো দলিলের কপি সংগ্রহ করা যেতে পারে।
- আইনগত সহায়তা নিনঃ যদি সমস্যাটি জটিল হয়, যেমন দলিলের নকল বা আইনগত সমস্যা থাকে, তবে আইনজীবীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা যেতে পারে।
পুরাতন জমির দলিল ডাউনলোড করুন শুধুমাত্র নাম দিয়ে
উপরোক্ত আলোচনায় আমি আপনাদের মাঝে পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল
দিয়ে এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম জানিয়েছি চলুন এখন পুরাতন জমির
দলিল ডাউনলোড করুন শুধুমাত্র নাম দিয়ে জানি।
- ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (LMS)ঃ অনেক জেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিস এখন অনলাইনে জমির দলিল সেবা প্রদান করে। আপনি যদি জমির দলিল নাম দিয়ে ডাউনলোড করতে চান, প্রথমে ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (Land Management System) ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে আপনার জমির মালিকের নাম এবং দাগ নম্বর দিয়ে সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পেতে পারেন।
- ই-নামজারি সেবাঃ বাংলাদেশে বেশ কিছু জেলা প্রশাসন ই-নামজারি সেবা চালু করেছে, যার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে জমির মালিকানা তথ্য এবং পুরাতন দলিল দেখতে বা ডাউনলোড করতে পারেন। নাম এবং দাগ নম্বর দিয়ে সহজেই পুরাতন জমির দলিল পাওয়া যায়।
- জেলা ভূমি অফিসঃ যদি অনলাইনে তথ্য পাওয়া না যায়, তবে আপনার জেলার ভূমি অফিসে গিয়ে আপনি জমির মালিকের নাম দিয়ে পুরাতন দলিলের কপি সংগ্রহ করতে পারেন। আবেদন করে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে দলিলের কপি পাওয়া সম্ভব।
- অনলাইন প্ল্যাটফর্মঃ Google Drive, Dropbox বা Bangladesh Digital Archives এর মতো কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন পুরাতন জমির দলিল ডিজিটাল আর্কাইভ আকারে সংরক্ষিত থাকতে পারে। সেখানে আপনার জমির নাম বা দাগ নম্বর দিয়ে তথ্য খুঁজে দেখুন।
- আঞ্চলিক ভূমি অফিস বা রেজিস্ট্রি অফিসঃ অনেক ক্ষেত্রে জমির দলিলের রেকর্ড স্থানীয় রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষিত থাকে। আপনি যদি তারিখ বা নাম দিয়ে দলিল খুঁজতে চান, তবে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
দাগ নাম্বার দিয়ে দলিল বের করার নিয়ম
পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির
মালিকের নাম সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন জানি দাগ নাম্বার দিয়ে দলিল বের করার
নিয়ম সম্পর্কে।
- ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (LMS)ঃ দাগ নম্বর দিয়ে জমির দলিল বের করার প্রথম পদক্ষেপ হলো ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (LMS) ব্যবহার করা। এটি একটি সরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে জমির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য দাগ নম্বর দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়। এটি আপনাকে জমির বিস্তারিত তথ্য যেমন মালিকের নাম, জমির পরিমাণ এবং অবস্থান সরবরাহ করবে।
- ই-নামজারি সেবাঃ বাংলাদেশে বেশ কিছু জেলা প্রশাসন ই-নামজারি সেবা চালু করেছে, যা ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে জমির দাগ নম্বর দিয়ে দলিলের কপি পেতে পারেন। সিস্টেমটি দ্রুত এবং সহজে জমির তথ্য নিশ্চিত করে।
- জেলা ভূমি অফিসঃ আপনি যদি অনলাইনে তথ্য না পেয়ে থাকেন, তবে জেলা ভূমি অফিস-এ গিয়ে জমির দাগ নম্বর দিয়ে দলিল বের করতে পারেন। ভূমি অফিসে গিয়ে আপনাকে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে দলিলের কপি সংগ্রহ করতে হবে।
- রেজিস্ট্রি অফিসঃ জমির দলিল সংরক্ষণকারী রেজিস্ট্রি অফিস-এও দাগ নম্বর দিয়ে পুরাতন জমির দলিল খুঁজে বের করা সম্ভব। এখানে প্রক্রিয়া প্রায় একই, তবে স্থানীয় রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে প্রাপ্তির সময়সীমা।
- অনলাইন প্ল্যাটফর্মঃ কিছু প্ল্যাটফর্ম যেমন Bangladesh Digital Archives বা Google Drive-এও পুরাতন জমির দলিল ডিজিটালি সংরক্ষিত থাকতে পারে। দাগ নম্বর দিয়ে সেগুলোর খোঁজ পাওয়া সম্ভব।
খতিয়ান নম্বর দিয়ে জমি কিভাবে চেক করব?
উপরোক্ত আলোচনায় আমি আপনাদের মাঝে পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল
দিয়ে এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম জানিয়েছি চলুন এখন খতিয়ান নম্বর
দিয়ে জমি কিভাবে চেক করব? জানি। খতিয়ান নম্বর দিয়ে জমির তথ্য চেক করার জন্য কিছু
সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করা যেতে পারেঃ
- ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (LMS)ঃ বাংলাদেশ সরকারের ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (LMS) এর মাধ্যমে আপনি খতিয়ান নম্বর দিয়ে জমির তথ্য চেক করতে পারেন। এই সিস্টেমে আপনার জমির খতিয়ান নম্বর দিয়ে মালিকানা, জমির পরিমাণ, অবস্থান, এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
- ই-নামজারি সেবাঃ বেশ কিছু জেলা প্রশাসন ই-নামজারি সেবা চালু করেছে। এই সেবা ব্যবহার করে আপনি খতিয়ান নম্বর দিয়ে অনলাইনে জমির মালিকানা ও অন্যান্য তথ্য সহজে দেখতে পারবেন।
- জেলা ভূমি অফিসঃ অনলাইনে তথ্য পাওয়া না গেলে, আপনি আপনার জেলা ভূমি অফিস-এ গিয়ে খতিয়ান নম্বর দিয়ে জমির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এখানে আপনাকে একটি আবেদন করতে হবে এবং নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে জমির তথ্য নেওয়া যাবে।
- আঞ্চলিক রেজিস্ট্রি অফিসঃ জমির খতিয়ান নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রি অফিস থেকেও আপনি পুরাতন রেকর্ড ও দলিলের কপি সংগ্রহ করতে পারেন। এখানে জমির প্রকৃত মালিক, আয়তন ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে।
এই পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে আপনি সহজেই খতিয়ান নম্বর দিয়ে জমির বিস্তারিত তথ্য চেক
করতে পারবেন।
দলিলের নকল তোলার খরচ ২০২৫
পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির
মালিকের নাম সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন জানি দলিলের নকল তোলার খরচ ২০২৫ সম্পর্কে।
দলিলের নকল (কপি) তোলার খরচ বাংলাদেশে জেলা ও উপজেলা ভূমি অফিসে নির্ধারিত থাকে,
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps গুলোর নাম জেনে নিন
যা কয়েকটি বিষয় অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। ২০২৫ সালে, সাধারণত খরচের পরিমাণ
নিম্নরূপ হতে পারেঃ
- দলিলের নকলের জন্য আবেদন ফিঃ দলিলের নকল নিতে আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হয়। সাধারণত এটি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা হতে পারে, তবে ফি ভিন্ন ভিন্ন জেলা ও উপজেলা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
- প্রত্যয়ন ও সার্টিফিকেট ফিঃ অনেক সময় দলিলের কপি প্রত্যয়ন করা হলে, অতিরিক্ত ফি হিসেবে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হতে পারে।
- ডিজিটাল কপি বা প্রিন্টিং খরচঃ ডিজিটাল কপি বা প্রিন্ট কপি নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে, যা সাধারণত ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
- বিশেষ আবেদন বা জরুরি সেবাঃ যদি জরুরি ভিত্তিতে দলিলের নকল প্রয়োজন হয়, তবে সাধারণ ফি ছাড়াও অতিরিক্ত চার্জ নেয়া হতে পারে।
এই খরচে স্থানীয় অফিসের নিয়ম এবং সেবা ধরণের ওপর নির্ভর করে কিছুটা পার্থক্য
থাকতে পারে। তাই সঠিক তথ্য জানতে আপনাকে স্থানীয় ভূমি অফিস বা সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
দলিল তল্লাশি ফি কত?
উপরোক্ত আলোচনায় আমি আপনাদের মাঝে পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল
দিয়ে এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম জানিয়েছি চলুন এখন দলিল তল্লাশি
ফি কত? জানি।
আরো পড়ুনঃ কুইজ খেলে টাকা ইনকামের উপায় জেনে নিন
দলিল তল্লাশি ফি সাধারণত জেলা বা উপজেলা ভূমি অফিসে নির্ধারিত হয় এবং এটি বিভিন্ন
কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। ২০২৫ সালে, সাধারণত দলিল তল্লাশি ফি নিম্নরূপ হতে
পারেঃ
- বেসিক ফিঃ দলিল তল্লাশি করতে প্রাথমিক ফি সাধারণত ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের নিয়ম অনুসারে।
- অতিরিক্ত ফিঃ যদি আপনার জন্য বিশেষ কোনো কপি বা সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়, তবে অতিরিক্ত ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়া হতে পারে।
- অনলাইনে তল্লাশিঃ কিছু জেলা প্রশাসন অনলাইনে দলিল তল্লাশি সেবা প্রদান করে থাকে। এই ক্ষেত্রে, ই-নামজারি বা ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ব্যবহার করে কিছু ফি নেওয়া হতে পারে, যা সাধারণত ২০-১০০ টাকা হতে পারে।
দলিল তল্লাশি ফি স্থানীয় ভূমি অফিসের নিয়ম ও সেবার ধরণ অনুসারে পরিবর্তিত হতে
পারে, তাই সঠিক তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করা উচিত।
দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম
পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির
মালিকের নাম সম্পর্কে জানলাম চলুন এখন জানি দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম
সম্পর্কে। দলিলের সার্টিফাইড কপি (যথাযথভাবে প্রত্যয়নকৃত কপি) সংগ্রহের জন্য কিছু
নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। ২০২৫ সালে এই প্রক্রিয়া সাধারণত নিম্নরূপঃ
- প্রথমে আবেদন করাঃ প্রথমে, সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে গিয়ে বা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রে জমির দাগ নম্বর বা খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করে সার্টিফাইড কপি চাওয়া হয়।
- ফি পরিশোধঃ সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে ফি পরিশোধ করতে হয়। সাধারণত ফি পরিমাণ ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, তবে এটি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে পরিবর্তিত হতে পারে।
- সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে প্রক্রিয়া শুরুঃ আবেদন জমা দেওয়ার পর, ভূমি অফিস বা রেজিস্ট্রি অফিস সংশ্লিষ্ট দলিলটি খুঁজে বের করে এবং তা প্রত্যয়ন (সার্টিফাইড) করে।
- সার্টিফাইড কপি সংগ্রহঃ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সাধারণত কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ) সার্টিফাইড কপি প্রস্তুত হয় এবং প্রাপ্তির জন্য আপনাকে অফিসে যেতে হয়।
- অনলাইন সেবাঃ কিছু জেলা বা উপজেলা প্রশাসন অনলাইনে সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করে। ই-নামজারি বা ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের মাধ্যমে সার্টিফাইড কপি অনলাইনে পেতে পারেন, তবে এজন্য নির্দিষ্ট ফি প্রযোজ্য হতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় সার্টিফাইড কপি পাওয়া সম্ভব এবং এটি ভবিষ্যতে মালিকানা প্রমাণে কাজে আসে।
লেখক এর মন্তব্য- পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে জেনে রাখুন
রাইট বাটন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের
মোবাইল দিয়ে এবং দাগ নাম্বার দিয়ে জমির মালিকের নাম ইত্যাদি ছাড়াও পুরাতন দলিল
বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে সম্পর্কে জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্য
বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো
লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের জানানোর জন্য শেয়ার করবেন।
আরো পড়ুনঃ এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
এমন আরো তথ্য ও রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করুন,
সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, ফলো করুন, বেশি বেশি শেয়ার করুন এবং কোন বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য বা রেসিপি জানতে চাইলে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন ও পোস্টটি কেমন
লাগলো কমেন্ট জানাবেন আশা করি, আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url